বিদ্যমান ইসলামী শিক্ষা ব্যবস্থা-
একটি প্রস্তাবনা
মুসলিম বিশ্বে কোথাও উন্নত শিক্ষা ব্যবস্থা চালু নেই । ওয়ার্ল্ড রেংকিংএ কোন অবস্থান নেই।বিজ্ঞান শিক্ষা গবেষনার মান উল্লেখ করার মতো নয়।প্রতিযোগিতা মূলক বিশ্বে টিকে থাকতে বিজ্ঞান চর্চা গবেষনার বিকল্প কোন পথ নেই।
জনশক্তির একটি উল্লেখযোগ্য সংখ্যাক মাদ্রাসা,হেফজুল শিক্ষা গ্রহন করছেন। অধিকাংশ মাদ্রাসা অর্থ সংকটে ঐ সকল প্রতিষ্ঠানে সাধারণ শিক্ষা কার্যক্রম কোন ভাবে চালিয়ে নিচ্ছেন।বড় বড় শহরগুলোতে স্বচ্ছল পরিবারের সন্তানদের জন্য কিন্ডার গার্টেন মাদ্রাসা, ফেজখানা শহরের অলি গলিতে চালু করেছেন।এর মূল উদ্দেশ্য আখেরাতে সন্তাদের তরফ থেকে পিতা মাতার জন্য সুপারিশের প্রত্যাশা করা।বিশেষত হেফজুল কুরআন শিক্ষা শেষে শতকরা ৫ জন শিক্ষার্থীও উচ্চশিক্ষা গ্রহনে সক্ষম হন না। বিরাট সংখ্যাক ঝড়ে পরেন। বড় হয়ে সমাজে বিশেষ কোন অবদান রাখতে দেখা যায় না। সেভাবে তাদেরকে গড়ে তোলার সুযোগ দেয়া হচ্ছেনা|
আল্লাহ কুরআন গবেষনার নির্দেশ দিয়েছেন। রাসুল স.বলেছেন সেই শ্রেষ্ঠ যে কুরআন পড়ে এবং অন্যকে শিক্ষা দেয়।কুরআন গবেষনা করা ,আসমান জমিনে আল্রাহর অনুগ্রহ অনুসন্ধন করা বান্দার সর্বশ্রেষ্ঠ ইবাদাত।মুসলিম বিশ্বের বিজ্ঞান গবেষনায় সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিতে হবে। সোনালী যুগের বাইতুল হিকমা,দারুল হিকমার আদলে বিজ্ঞান গবেষনাগার গড়ে তুলতে হবে।
স্কলার বের করে আনতে এক্সিলেন্ট এ্যায়াড, উইসডম এ্যায়ার্ড ,হিকমা এ্যায়ার্ড যে কোন একটি নামে বিশ্বব্যাপী নোবেল পুরস্কারের মত সম্মান জনক পদক চালু করা যেতে পারে।৭ থেকে ১০ টি বিষয়ে উপর এ এ্যায়ার্ড নির্বাচন করা যেতে পারে। বিশ্বের সবার জন্যই উম্মুক্ত থাকবে। ৫৭ টি মুসলিম দেশের সম্মিলিত চেষ্টায় ২০০০ কোটি টাকার একটি তহবিল গঠন করে মদিনাতে একটি স্থায়ী প্রশাসনিক কাঠামো তৈরী করা যায়। প্রতি বছর হজ মৌসুমী মদিনাতে পুরস্কার বিতরণীর অনুষ্ঠানের আয়োজন করা যেতে পারে।আলোরন সৃষ্টিকারী চমৎকার ফলাফল পাওয়া যাবে বলে আশাকরা যায়।বিষয় নির্বাচন করা যেতে পারে যাথাক্রমে কুরআন , হাদিস, তুলনা মূলক ধর্মতত্ত্ব,অর্থনীতি, ইতিহাস, ,চিকিৎসা, সাহিত্য, শান্তি । প্রথমত: প্রতিটি পুরস্কারের পরিমান হতে পারে ৩-৫ কোটি টাকা।
আবু জিসান
৭-১০- ২০২৪ খ্রি:
চলবে —