ইসলামি অর্থ ব্যবস্থা-
ইসলামী অর্থ ব্যবস্থা পৃথিবীতে সবচে উত্তম অর্থব্যবস্থা বলে সর্বজন স্বীকৃত।এ ব্যবস্থা নৈতিকতার প্রশ্নে পুজি বাদ, সমাজতান্ত্রকি অথব্যবস্থাকে অস্তিত্ব সংকটে ফেলে দেয়।এ টি ভোগের নয় ত্যগের মহিমায় ভাস্কর ।ইসলামি অর্থনীতি হলো কুরআন ও সুন্নাহ মোতাবেক অর্থনৈতিক লেনদেন ব্যবস্থা। ইসলামি কৃষ্টি ও তামাদ্দুন সমৃদ্ধ যে অর্থনৈতিক ব্যবস্থা গড়ে উঠেছে তাই ইসলামি অর্থনীতি। ইসলামি অর্থনীতি হলো জনসাধারণের সাথে জীবন ঘনিষ্ট অর্থ ব্যবস্থা যার মূল ফোকস ইয়াতিম মিশকিন,অতি দরিদ্র অধিকার বঞ্চিত মানবতার কল্যান নিশ্চিত করা ।
রাসুল (স:) ঐশীতন্ত্র বাস্তব রুপদান করতে পেরেছিলেন। প্রচলিত রাষ্ট্র ব্যবস্থার বাইরে ইনসাফ ভিত্তিক রাষ্ট্র ব্যবস্থা গঠনে শতভাগ সফল হয়েছিলেন। অতি সাধারণ জীবন জাপন করতেন রাসুলে খোদা।মৃত্যুকালে কোন সঞ্চয় রেখে যাননি।নিরাপত্তার জন্য কোন দেহ রক্ষি ছিল না। খেজুর পাতার ছাউনী এবং খেজুর পাতার মাদুরে শুইয়ে রাত কাটিয়ে দিয়ে ছিলেন। পরবর্তী ৪ খলিফার জীবন এর ব্যতিক্রম ছিলনা ।মানবজাতীর ইতিহাসে এমন নজির দ্বিতীয়টি নেই। পরবর্তী ইতিহাস আমাদের জানা।কল্যন রাষ্ট্রের জন্য ৫ ডি ফরমুলার কথা যারা ভাবছেন তারা রাসুল স. জীবনাদর্শের সংগে মিলিয়ে নিতে পারেন
5D- formula
D= Democracy of the people, by the people for the people
D= Demand within simple life
D= Development of sovereignty i.e country
D= depend upon God
D= Discipline in all respect
ইসলামের রাষ্ট্র ব্যবস্থা তর্কাতীত ভাবে শ্রেষ্ঠত্বের দাবীদার।পৃথিবীর মানুষ তা প্রতিনিয়ত উপেক্ষাকরে চলছে। সত্য যে ভিন্নধর্মী মতলম্বীদের দাপটে ইসলাম পন্থীরা আজ অস্তিত্বহীন হয়ে পরেছে।ইসলামের বানী পৌছান তো দূরের কথা,বরং তাদের আদর্শ, চিন্তাধারা বাস্তবায়নের জন্য আমাদের শাসক,আলেমসমাজের অনেকেই ফতোয়া দেন।পশ্চিমা বুদ্ধিজীবিদের নীতি নৈতিকতা পরিপন্থি মন্তব্য বক্তব্যকে আমরা তর্কতিত ভাবে মেনে নেই।আমদেরকে তার নালায়েক,
অথর্বই মনে করে থাকেন।পশ্চিমা শক্তির কাছে আমাদের সম্মিলিত শক্তি নেহায়তি সমান্য। মুসলিম সম্প্রদায় আজ বহুধা বিভক্ত্ এক ইসরাইলেরমত ক্ষুদ্র একটি দেশের সামরিক শক্তির মোকাবেলায় আরব বিশ্ব সম্মিরিত মুসলিম শক্তি অসহায়ের মত নিরব থেকে অসহায় নারী পুরুষ আর শিশুদের লাসের সাক্ষী হচ্ছেন ।তারা যুক্তিদিয়ে সান্তনা নিচ্ছেন বিষয়টা ইসরাইল নয় আমেরিকা করছে।আমেরিকার অজুহাত দিয়ে নিজেদের অনৈক্য ,অক্ষমতা আর ভীরতাকে ঢেকে রাখার ছেষ্টা করা হচ্ছে। সুতরাং ইসলামী আদর্শের বাইরে যে ব্যবস্থা মন্দের ভাল অর্থাৎ গনতান্ত্রীক রাষ্ট্র ব্যবস্থা তাকেই বেচে নিয়ে বিশ্বসম্প্রদায়ের সংগে তাল মিলিয়ে মুসলিম সমাজ দিন গুজরান করাকে কেউ কেউ উত্তম সমাধন মনে করে থাকেন।
ভিন্নমত
বলতে দ্বিধানেই যে ঐশীবিধান সর্বকালের সর্বযুগের কারজয়ী জীবন বিধান তবে ঐশীব্যবস্থা আল্লাহর বার্তাবাহক পয়গাম্বর ছাড়া সাধারণের পক্ষে বাস্তবায়ন করা সম্ভব নয় মর্মে অনেকেই অভিমত দিয়া থাবেন । এ ব্যবস্থা অনেক কৃচ্ছতা সাধনের বিষয় । কিছু সময় পর্যন্ত ধরে রাখা গেলেও তা স্থায়ী হয়না।এটি মানুষের স্বভাব ধর্মের বিপরীত। ভোগবাদী বিশ্বে মানুষের চাহিদা অফুরন্ত । তুলনা মূলক বিচারে নিজের /পরিবারের অবস্থান মূল্যায়ন করে চাহিদার পরিমাপ করা হয়।অন্যের চেয়ে বাহ্যিক চাকচিক্য,পরস্পরের গৌরব অহংকার,ধন সম্পদ সন্তান সন্ততি,ক্ষমতা আর ঐশ্বর্য্যর মালিকানার ভিত্তিতে সমাজে শ্রেষ্ঠত্ব লাভের প্রতিযোগীতায় ব্যস্ত থাকতে হচ্ছে।। খেলাফত প্রতিষ্ঠার তিন দশক পার না হতেই রাসুল স. সাহাবাগান দ্বিধা ত্রীধা বিভক্ত হয়ে বিবাদে জড়ান এবং অল্পদিনের মধ্যেই ইতিহাসের কারবালায় নির্মম হত্যাকান্ড সংঘটিত হয় এবং ইসরালামী রাষ্ট্রে রাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠা হয়। ইসলামী রাষ্ট্র মাত্র তেত্রিশ বছর স্থায়ী হয়েছিল।মানব ইতিহাসে এর পুনরাবৃত্তি হয়নি।আবার যখন আল্লাহর বার্তাবাহক ঈসা আ.এর আগমন ঘটবে তুখন ঐশীব্যবস্থা কায়েম হবে।সমাজে এ নিয়ে হাজার মত রয়েছে।
সরকার, রাষ্ট্র ব্যবস্থা নিয়ে জাতিতে- জাতিতে ধর্মে-ধর্মে স্বধর্মে -বিধর্মে হিন্দুত্ববাদ ইসরাম,রাজতন্ত্র , সমাজতন্ত্র .গনতন্ত্র কাযেমের লক্ষে যুগে যুগে কত যুদ্ধে কত লোকের মৃত হয়েছে পঙ্গুত্ব আর ভয়াল স্মৃতি নিযে বেচে ছিলেন তার সঠিক হিসেব মানব জাতির কাছে নেই ।বিরোধ এখনও আছে,আগামীদিনেও থাকবে। অতীতের অভিজ্ঞতাকে ধারন করে বর্তমান রাষ্ট্র ব্যবস্থায় গনতন্ত্র তার অবস্থান সুদৃঢ় করেছে ।সুতরাং বিশ্বের অধিকাংশ জাতি ধর্ম, বর্ন,ভাষা আঞ্চরিকতার লোক ঐক্যমত পোষন করেন যে সরকার ব্যবস্থায় গনতন্ত্রই উত্তম ,টেকসই সরকার ব্যবস্থা হিসেবে তারা মান্যতা দিবেন।বহু দলীয় গনতান্ত্রীক ব্যবস্থায় সকল জাতি, ধর্ম, বর্ন,ভাষার লোক ঐক্যমতের ভিত্তিতে সরকার পরিচালনা করে।জাতীয় ঐক্য ও সংহতির উত্তম প্লাট ফর্ম এটিই।তাদের শ্লোগান ধর্ম যার যার উৎসব সবার , ধর্ম যার যার দেশটি সবার।সার্বজনীন আবেদন , আপোষ মীমাংসার উত্তম পদ্ধতি। বিশ্বব্যপী তাই গনতন্ত্রের কদর ।এতসত্বেও গনতন্ত্র ত্রুুটি মুক্ত নয়।
গনতন্ত্রের সবচে দুর্বল দিকগুলো হলো গনতন্ত্রে স্বেচ্ছাচারিতা,লাগামহীন বিলাশীতা আর অর্থনৈতিক বৈষম্য সৃস্টি,ধর্মনিরপেক্ষ, ধর্মহীন সমাজ ব্যবস্থায় গনতন্ত্র মানুষের নৈতিক সমর্থন হারাচ্ছে প্রতি নিয়ত। উত্তরনের উপায় আছে একমাত্র ইসলামি অর্থ ব্যবস্থায়। মানুষ হিংসা বিদ্বেষ প্রসূত তা প্রত্যাখ্যান করে যাচ্ছে।এ ক অনুশীকার্য মানব সৃষ্ট সরকার ব্যবস্থায় বিশব্যাপি যতগুলো পদ্ধতির উদ্ভবিত হয়েছে শত প্রতিবদ্ধকতা সত্বেও সর্বাপেক্ষা সফল বলা হয়ে থাকে গনতান্ত্রীক সরকার ব্যবস্থাকে।গনতন্ত্রের বিকল্প কোন রাষ্ট্র ব্যবস্থা আজ অবধি স্থায়ী হয়নি। বিশ্ব এখন ১৫ সেপ্টেম্বরকে গনতন্ত্র দিবস হিসেবে ২০০৭ সাল থেকে পালন করে আসছে।রাষ্ট্র পরিচালনায় গনতান্ত্রীক ব্যবস্থা শ্রেষ্ঠত্বের স্থান লাভকরলেও এ ব্যবস্থা আরো উন্নত করার প্রয়োজনীয়তা রয়েছেএমতাবস্থায় উত্তম হবে গনতন্ত্রের সীমাবদ্ধতাগুলোকে দ্রুত কাটিযে উঠার উপায় বেরকরা। গনতন্ত্রকে কিভাবে জনবান্ধব করা যায় সে বিষয়টিকে সর্বাগ্রে গুরুত্ব দেয়া । স্মরান রাখতে হবে বর্তমান সরকার ব্যবস্থায় গনতন্ত্রই রাষ্ট্রের শেষ আশ্রয়স্থল – The last resort
গনতন্ত্র সংস্কার-
রাজনৈতিক দলের নামকরনে অভিমত
রাজনৈতিক দলের নামকরনে সার্বজনীন বৈশিষ্ট্য থাকতে হবে যা আমাদের দেশে সচরাচর মানা হচ্ছে না – মুসলিম লীগ, আওয়ামী মুসলিম লীগ,বাকশাল, কৃষক প্রজাতন্ত্র, জাতীয়তাবাদী দল, জাতীয় পার্টি, জামায়াতে ইসলামী, ইসলামী জোট,নেজামে ইসলাম, খেলাফত আন্দোলন, হিন্দু মহাজোট , বিশ্ব হিন্দু পরিষদ— কনজারভেটিভ পার্টি,তৃর্নমূল কংগ্রেস, তৃর্নমূল বিএন পি- এ রকমের নাম করন ছিল- আছে। আজকে ঐসকল নামকরন ত্রুটি পূর্ন মনে করা হচ্ছে–বাদবাকী দুনিয়া এমন দলকে রাজনৈতিক দলের স্বীকৃতি দিতে চান না ।ইসলাম জড়িত থাকলে জঙ্গীবাদী দল,কৃষক শ্রমিক থাকলে সমাজতান্ত্রীক দল , তৃর্নমূল, জাতীয় দল,কনজারভেটিভ এ জাতীয় নাম করন করা হলে তাকে সংকীর্ন দল হিসেবে অবমূল্যায়ন করা হয়।দল হতে হবে জাতীয়ভাবে।নয়ত এদের আগ বাড়তেই দেয় না। তারা কথায় কাজে ধর্মনিরপেক্ষতার আবাহওয়াকে সর্বাগ্রে স্থান দেয়। তাদের শ্লোগান খাও দাও ফূর্তি কর ,ধর্ম কর্ম বাসায় কর।বহুদলীয় গনতান্ত্রীক রাজনৈতিক দলের নাম করন হতে হবে–ডেমক্রেট, রিপাবলিক, লেবার, ফ্রিডম পার্টি,কংগ্রেস, জনতা দল,জনতা লীগ,কল্যান পার্টি , সাম্যবাদীদল,জাষ্টিস পার্টি,পিপলস পার্টি এ রকমের সার্বজনীন দৃষ্টিভঙ্গি থাকা আবশ্যক।
ভিন্নমত
দেশের সংস্কৃতি অধিকাংশের ইচ্ছার ভিত্তিতে রাজনৈতিক দল গঠিত হয়। ধর্ম,আঞ্চলিকতা, নিজ ও জনগনের স্বার্থ রক্ষাকরার অধিকার প্রতিটি নাগরিকের থাকা উচিত।তাছাড়া ৫-৭ যুগ আগের দলের নাম পরিবর্তন করা খুব সহজ কাজ নয়।নতুন দল সম্পর্কে জনসাধারনকে অবহিত করা , নতুন করে রেজিষ্ট্রেশনের ঝামেরা , বহিবিশ্বকে অবহিত করা, রেকর্ড পত্র নতুন করে তৈরী কত মুসকিলের কাজ ।বড় কথা দল আর মার্ক একটি শক্তিশালী ব্রান্ডিং এর কাজ করে। সুতরাং এ সব অবান্তর, অবাস্তব ধারণা মাত্র।
বরং তারা গনতন্ত্রের সীমাবদ্ধতা নিযে মন্তব্য করছেন, নির্বাচনে মনোনয়ন বানিজ্য লাগামহীন ভাবে বেড়েই চলছে।- বিশ্বব্যাপী এ বানিজ্যে রমরমা ব্যবসা হচ্ছে।নির্বাচনে অবৈধ অর্থ ব্যয়কে বৈধতা দেয়া হচ্ছে।ভোট কেনা বেচা হরদম চলে।বিপরীতে ভোটার দেরকে ভয় ভীতি প্রদর্শন ,ভোট প্রদানে অনিহা ,কর্মচারীদের ঘুষ দেয় ,নেয়া গনতন্ত্রকে প্রশ্নবিদ্ধ করছে ।জাল ভোট নেয়া, ম্যাশিনে ভোট গ্রহন ও গননায় করচুপি তে বিজয়ী হওয়া। গনতন্ত্র আজ বিত্তবানদের সরকার ব্যবস্থা। ধনীরাই এমপি , ব্যবসায়ীরা এখন রাজনীতিতে অগ্রবর্তী দলা। সুতরাং এটি উত্তম ব্যবস্থা হিসেবে মেনে নেয়া যায় না।
বরং তারা গনতন্ত্র্রের ক্যান্সার নিরাময়ের পরামর্শ দিচ্ছেন।
ভিন্নমত/ সমাধান
যেহেতু মানব জাতির সামনে গনতন্ত্রের বিকল্প কোন ব্যবস্থা টেকসই হয়নি সুতরাং আর বিকল্প খুজতে না গিয়ে এর সীমাবদ্ধতা নিরসনের সর্বাত্মক চেষ্টা করা হলে নিশ্চয়ই মনব জাতির অভূতপূর্ব কল্যান সাধিত হবে।বিষয়টি রকেট বিজ্ঞান নয় যে রাস্ট্রের পক্ষে তা অসম্ভব ।গনতন্ত্রের প্রতি বিশ্বাসী হলে এগুলোর সহজ সমাধান হাতের মুঠাতে ই রয়েছে-
আপাতত: ৫টি বিষয় গুরুত্বের সংগে বিবেচনা করা হলে দৃশ্যমান ফলাফল অর্জিত হবে।
সংসদ সদস্যের প্রার্থীতা-
১.প্রার্থীকে প্রাকনির্বাচনী দলীয় ভোটে প্রথমে উত্তীর্ন হতে হবে –
২.রাষ্ট্র, সংসদ সদস্য আইন সর্বোতভাবে মেনে চলতে বাধ্য করবে।
৩. রাষ্ট্রপতি এবং প্রধানমণ্ত্রী সারা জীবনে অনধিক দু‘বার দায়িত্ব পালন করার সুুযোগ পাবেন।কোন অবস্থাতেই অনিবার্হ্য কারন দেখিয়ে, তৃতীয় বার শপথ নেয়া যাবে না। সরকার প্রধান এবং দলীয় প্রধানের দায়িত্ব একই সময়ে পালন করা যাবেনা। এমনটি করা গেলে স্বৈরাচারী হবার খায়েশ এবং সুযোগ দুই কমে যেতে বাধ্য হবে।
৪.দ্বিকক্ষবিশিষ্ট আইনসভা –বাংলাদেশের মতো উন্নয়নশীল দেশগুলোতে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন রাজনৈতিক সংকটের উদ্ভব হয়। এসব সংকট সমাধানে আইনসভার উচ্চ কক্ষের মতো একটি স্থায়ী প্রতিষ্ঠান থাকা দরকার যারা সরকারে ভুলত্রুটি শোধরানর এখতিয়ার রাখবেন। রাষ্ট্রের অভিভাবক হিসেবেও কাজ করবেন এরা হবেন দেশের সিনিয়র সিটিজেন।
৫.স্বাধীন নির্বাচন কমিশন গঠন—জাতীয় পর্যায়ের নির্দলীয় নিরপেক্ষ অনুর্ধ্ব ৭ সদস্য বিশিষ্ট জাতীয় সার্জ কমিটি গঠনের মাধ্যমে স্বাধীন নির্বাচন কমিশন গঠন।আপাতত এই ৫ টি পদক্ষেপ বাস্তবায়িত হলে তবেই গনতন্ত্রের সুফল আসতে শুরু করবে।****আব্রাহাম লিংকনের কালজয়ী ভাষনের শেষাংশে তার আবেদন ছিল *এই শহীদদের রক্ত যেন বৃথা না যায়। ঈশ্বরের কৃপায় এই জাতির নবজন্ম হোক। জনগণের দ্ব্রারা গঠিত, জনগণের জন্য এবং জনগণের সরকার যেন পৃথিবী থেকে হারিয়ে না যায়। these dead shall not have died in vain-that this nation, under God, shall have a new birth of freedom-and that government of the people, by the people, for the people shall not perish from the ear
ধর্মপ্রান মুসলিমদের চুড়ান্ত বিশ্বাস-
গনতন্ত্র কিংবা মানব রচিত কোন বিধান রাষ্ট্র কিংবা জনগনের পুরাপুরি কল্যান দিতে সক্ষম নয়। কল্যান রাষ্ট্র এবং মানুষের আত্মার মুক্তি কেবল মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহর ঐশী তন্ত্রেই সম্ভব হয়েছিল।
কল্যান রাষ্ট্রের সরকার ব্যবস্থায় পৃথিবীর ইতিহাসে যতটা পদ্ধতি উদ্ভাবিত হয়েছে ঐশী তন্ত্র সর্বাপেক্ষা সফল সরকার ব্যবস্থা হিসেবে বিবেচিত হয়েছে। সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ মহা মানব মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ (স.) মদিনার রাষ্ট্র ঐশীতন্ত্র মূল নীতির ভিত্তিতে প্রতিষ্ঠা করেছিলেন।ঐশী তন্ত্র ছাড়া সত্যিকার কল্যান রাষ্ট্র গঠন করা প্রায় অসম্ভব একমাত্র ইসলামী দর্শনই আত্মাকে নির্মল রাখতে সক্ষম।আত্মার অভাবমুক্তি ই প্রকৃত অভাব মুক্তি এ মূলনীতি চাহিদা মিটানো মহা ঔষধ।প্রচরিত গনতান্ত্রিক ব্যবস্থায় নির্বাচিত সরকার গঠনে টিকসই সমাধান পাওয়া গেলেও অর্থ ব্যবস্থার সুরাহা হয়নি। সহজ সমাধান একমাত্র ইসলামী অর্থ ব্যবস্থায নিহিত রয়েছে।গনতন্ত্রনে ধর্মনিরপেক্ষমতবাদের প্রনোদনা আর পুজিবাদী অর্থ ব্যবস্থা দ্বারা কিয়ামত পর্যন্ত চেষ্টা করা হলেও কল্যান রা্ষ্ট্র দূরের থাক অর্থনৈতিক বৈষম্য কমিয়ে আনা এবং সামাজিক সুবিচারের লক্ষ্য অর্জিত হবার নয় ।
আবু জিসান
৭-১০-২৪খ্রি:
চলবে……..–